শেষটা হতাশার || জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি সিরিজ হার 🏏

avatar

ক্রিকেট!! বাঙালির এক আবেগের নাম। বহু বছর ধরেই বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নিয়ে বাঙ্গালীর বহু স্বপ্ন। কেননা বৈশ্বিক স্পোর্টস জগতের একমাত্র ক্রিকেটাঙ্গনেই বাংলাদেশ রয়েছে একটু ভালো অবস্থানে। তাই একটি জয় বাঙ্গালীদের খুশির কারন হয়, অন্যদিকে বাজে হারগুলো হয় হতাশার কারন।

এইতো কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ খেলছে। যার জন্যে বাংলাদেশ দল পাড়ি জমিয়েছিলো ১৪০০ কিলোমিটার দূরের আফ্রিকান দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সেখানে তারা দুইটি টেস্ট, তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং তিনটি ওডিয়াই ম্যাচে ওয়েস্ট-ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছিলো। কিন্তু সব বিপত্তি টেস্ট আর টি-টুয়েন্টি সিরিজকে নিয়ে।

টেস্ট এবং টি টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিং, বোলিং এবমনকি ফিল্ডিংয়ও আশানুরূপ নয়। পূর্ববর্তী সিরিজগুলোতে তা স্পষ্ট ফুটে ওঠেছে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে। শ্রীলঙ্কার পর ওয়েস্ট-ইন্ডিজের মাটিতেও বাজেভাবে হারতে হয়েছে টেস্টে। টি-টুয়েন্টিও একই অবস্থা দলের। টি-টুয়েন্টি খেলার মতো এনার্জিই খেলোয়াড়দের মধ্যে খুজে পাওয়া যায়না।

তবে ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওডিয়াই সিরিজগুলোতে বাংলাদেশ ছিলো অপ্রতিরোধ্য। দেশ এবং বিদেশের মাটিতে তাদের সাফল্য শতভাগ। শেষ সিরিজেও সেই সাফল্য ধরে রেখেছে ওডিয়াই দলের ক্রিকেটাররা। ওয়েস্ট-ইন্ডিজকে তাদের মাটিতেই হোয়াইট ওয়াশ করেছে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দল। ফলে টানা ১০ টি ওডিয়াই ম্যাচেরও বেশি জয় করে রেকর্ড গড়েছে বাংলার টাইগাররা।


image.png
PIXABAY

ওয়েস্ট-ইন্ডিজের পর এবার বাংলাদেশ পারি জমিয়েছে জিম্বাবুয়ের মাটিতে। বরাবরই বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভালো বন্ধু জিম্বাবুয়ে। খারাপ সময়গুলোতে সবসময়ই পাশে থেকেছে তাড়া। সেখানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হয়েছে দু'দল। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রীতিমতো বেহাল দশা হয়েছিলো বাংলাদেশ। সেই পুরোনো দুর্বলতা এই ম্যাচেও চোখে পরে। ব্যাটিং, বোলিং সব জায়গাতেই ব্যর্থ তারা।

প্রথম ম্যাচে ২০০+ রান কনসিড করে বাংলাদেশের বোলাররা। দেশশেরা বোলার মোস্তাফিজুর রহমান এদিন ৪ ওভার বল করে ৫০ রানের খরচায় দুই উইকেট তুলে নেয়৷ বাকি বোলারদের অবস্থাও বেগতিক। জবাবে ব্যাটিংয়ে এসে শুরুতেই মুনিমের উইকেট হারাতে হয়। তারপর লিটন কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও বেশিক্ষন টিকে থাকতে পারেনি। শেষদিকে একমাত্র অধিনায়ক সোহান ছাড়া বাকিদের পাওয়ার হিটিংয়ের অভাবে ১৭ রানের পরাজয় মেনে নিতে হয়।

তবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মোসাদ্দেকের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে জয়ে পেয়েছিলো বাঙালিরা। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে এদিন ২০ রানের খরচায় ৫ উইকেটে তুলে নেয় এই পার টাইম বোলার। তবে জিম্বাবুয়ের হয়ে অসাধারণ ব্যাটিং করেন দারুন ফর্মে থাকা সিকান্দার রাজা। ৬০+ রানের মাধ্যমে দলকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেন। ১৩৭ রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পায় লিটম মুনিমরা। মুনিমের বিদায়ের পর লিটনের অসাধারণ ৫০+ রানে দল জয়ের কাছাকাছি পৌছে যায়। শেষদিকে শান্ত আফিফের ব্যাটে ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ।

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বোলিংয়ে ভালো শুরু করে বাংলাদেশ। ৬৭ রানের মাথায় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ের মূল্যবান ৬ টি উইকেট। কিন্তু ম্যাচ তো এখানেই শেষ নয়! নাসুম আহমেদের ১ ওভারেই ৫ ছক্কা আর এক চারে ৩৪ রান তুলে নেয় রায়ার্ন বার্ল। এতেই ম্যাচে ফিরে জিম্বাবুয়ানরা। পাওয়ার হিটিংয়ে তারা বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য দাড় করায় ১৫৭ রানের।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। তার সাথে ধীরগতির ব্যাটিংয়ের ফলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাঙালিরা। দিনশেষে হারারের ব্যাটিং পিচে ১৫৭ রান তুলতে ব্যর্থ হয় ব্যাটাররা। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের স্বাদ পায় বাংলাদেশের খেলোয়ারেরা। এই হার হতাশার! এই হার ব্যর্থতার। এই হার অপ্রত্যাশিত।



0
0
0.000
1 comments