২০১৯ ওডিয়াই ক্রিকেট বিশ্বকাপ || স্মৃতিকথা 🏏

avatar

ক্রিকেট বাঙালির আবেগের জায়গা। বহু বছর ধরেই বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নিয়ে বাঙ্গালীর বহু স্বপ্ন। অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ জিতবে। বাংলাদেশের যুবারা যা করে দেখিয়েছে ২০২০ সালে ভারতকে হারিয়ে। এবার পালা সিনিয়র দলের। প্রতিটা বিশ্বকাপেই এদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা বাংলাদেশ দলকে সাপোর্ট দিয়ে থাকেন৷ তবে তাদেরকে বরাবরের মতোই হতাশ হতে হয়েছে। তবে তারা হাল ছেড়ে দেয়নি৷

হতাশাকে দূর করে বিশ্বকাপটাকে উপভোগ করতে অনেকে আবার বাংলাদেশ দলের পাশাপাশি অন্য দেশগুলোকেও সাপোর্ট দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড ও অঅস্ট্রেলিয়ার সাপোর্টার বেশি দেখা যায়৷ ২০১৯ বিশ্বকাপে যা ছিলো সবচাইতে বেশি। কেননা বাংলাদেশ দল সেবার হাতে গোনা দুই-একটা ম্যাচ ছাড়া তেমন ভালোই করতে পারেনি । অপরদিকে বড় দলগুলোর পারফরম্যান্স ছিলো নজর কারার মতো।


image.png
UNSPLASH

সেই বিশ্বকাপে সেরা চারে স্থান পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিলো দলগুলোকে। কেননা প্রথম চারটি স্থানে যায়গা পাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিলো মোট ছয়টি দলের। শেষ পর্যন্ত ১৫ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্থান দখল করে ভারত, ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া এবং ১২ ও ১১ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থান দখল করেছিল ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড।

যার ফলে পয়েন্ট টেবিলের প্রথম দল ভারত সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ দল নিউজিল্যান্ডের সাথে। অপরদিকে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড পরস্পরের মুখোমুখি হয় আরেক সেমিফাইনালে। তবে কেউ কি ভেবেছিলো পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুই দলকে হারিয়ে ফাইনালে মুখোমুখি হবে পরের দুই দল! হা, ঠিক সেরকমটাই ঘটেছিলো। সেমিফাইনালে তীব্র এক প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর চোখের জলে বিদায় নিতে হয়েছিলো গত আসরের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া আর পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল ভারতকে।

তারপর ফাইনালে যা ঘটেছে তা ছিলো কল্পনার বাইরে। এই ফাইনালের মতো উত্তেজনাপূর্ন ফাইনাল দ্বিতীয় আরেকটি হয়নি, আর কখনো হবে বলেও মনে হয়না! তবে ক্রিকেটে অসম্ভব বলে কিছু নেই।

২০১৯ সালের ঠিক এই জুলাই মাসের ১৪ তারিখ ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয় ফাইনাল ম্যাচটি। যেখানে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো নিউজিল্যান্ড। ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ৮ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২৪১ রান। মাঝারী রানের এই টার্গেট খুব সহজেই পাড় করার কথা ছিলো স্বাগতিক ইংল্যান্ডের। কিন্তু তাদের জন্য সবচাইতে বড় বাধা ছিলো ফাইনালের চাপ আর নিউজিল্যান্ডের অসাধারন বোলিং।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। ৮৪ রানের মাথায় পড়ে যায় মহামূল্যবান চারটি উইকেট। ঠিক তখনই দলের ত্রানকর্তা হলে মাঠে আসেন বেন স্টোকস আর জোস বাটলার৷ তাদের অনবদ্য পার্টনাশিপে তারা একেবারে জয়ের কাছাকাছি চলে যায়।

তবে হাল ছেড়ে দেয়নি নিউজিল্যান্ড। শেষদিকে উইকেট তুলে নিয়ে খেলা জমিয়ে দেয়৷ একটা সময় মনে হচ্ছিলো ম্যাচটা নিউজিল্যান্ড জিতে নিবে। কিন্তু কিছু কাল্পনিক অঘটনের মাধ্যেমে ম্যাচটি ড্র করে ফেলে ইংল্যান্ড। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার অভারে৷


image.png
UNSPLASH

সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে ১৫ রানের টার্গেট দাড় করায় নিউজিল্যান্ড। এখানেও সমান ১৫ রান করে নিময়ের মারপ্যাচে প্রথমবারের মতো ওডিয়াই বিশ্বকাপ জয় করে নেয় ইংল্যান্ড জাতীয় দল। অবসান ঘটে তাদের দীর্ঘদিনের আক্ষেপের।

ভাগ্যের কাছে হেরে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের জন্য হাজারো ভক্তের মন ভেজ্ঞেছিলো সেদিন। অন্যদিকে পুরো বিশ্ব বরন করে নেয় নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।



0
0
0.000
1 comments
avatar

Congratulations @fa-him! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s):

You have been a buzzy bee and published a post every day of the week.

You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word STOP

Check out the last post from @hivebuzz:

Feedback from the July 1st Hive Power Up Day
The 7th edition of the Hive Power Up Month starts today!
Support the HiveBuzz project. Vote for our proposal!
0
0
0.000