চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে পিএসজির বিদায়!

BAYERN
চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্নটা অধরাই রয়ে গেলো ফরাসি জায়ান্ট ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের। দলগত শক্তিমত্তা এবং সর্বধিক বিবেচনায় বিশ্বের সেরা পাচটি ফুটবল ক্লাবের মধ্যে পিএসজি একটি। পিএসজির প্রেসিডেন্ট নাসের আর খেলাইফি দলটির দায়িত্ব নেবার পর থেকেই নিজেদেরকে ইউরোপের শীর্ষস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দলে ভিড়িয়েছে বিশ্বের নামিদামি সকল খেলোয়াড়দের। তবুও এই চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা যেন আমাবস্যার চাঁদ!
চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের মিশনকে সামনে রেখে প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের অধিপতি নাসের আল খেলাইফি ২০১৭ সালেএ শুরুর দিকে রেকর্ড পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে দলে যুক্ত করেন সেই সময়ের সেরা তারকা ব্রাজিলিয়ান প্রাণভোমরা নেইমার জুনিয়রকে। ২২২ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার বিয়ের বিনিময়ে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যোগ দেয় এই তারকা।
তার এক মৌসুম পরেই ২০১৮ সালে ১৮০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে মোনাকো থেকে সেরা উদীয়মান তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দলে যুক্ত করেন। নেইমার এবং এমবাপ্পের আগমনে পিএজির আক্রমণভাগ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তবে লীগ পর্যায়ে তারা সাফল্য এনে দিতে পারলেও ইউরোপের সেরা হবার লড়াইয়ে তাদের অর্জনটা একেবারেই শূন্য।
কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং নেইমার জুটির চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ অর্জন ২০২০ সালের ফাইনাল। যেখানে তারা শিরোপা জয়ের দারুন এক সম্ভাবনা তৈরি করেও শেষ পর্যন্ত ফিরেছে খালি হাতেই।
দলের বারবার এমন ব্যর্থতার পর, দলকে আরো বেশি শক্তিশালী করতে সময়ের সেরা খেলোয়াড় আর্জেন্টাইন তারকা লিওলেন মেসি সহ পাচজন নামীদামি তারকাদের এক ট্রান্সফার উইন্ডোতে দলে যুক্ত করে প্যারিস সেন্ট জার্মেইন। ভক্ত সমর্থকরা আশা করেছিল মেসি - নেইমার এবং এমবাপ্পে জুটি হয়তো তাদের আক্ষেপকে পূর্ণতা দিবে।
তবে এই ত্রয়ী টানা দ্বিতীয়বারের মতো ব্যর্থ পিএসজিকে শিরোপার স্বাদ বয়ে এনে দিতে। এবারও প্যারিস সেন্ট জার্মেইন চ্যাম্পিয়ন্স লীগের রাউন্ড অফ সিক্সটিন থেকে বায়ার্ন মিউনিখের এর কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে ফরাসিয়ান ক্লাবটি।
এই অপূর্ণতার পিছনে আমি ঘাটতি দেখছি প্যারিস সেন্ট জার্মেইন এর মধ্যমাঠ এবং ডিফেন্স এর দুর্বলতা। কেননা প্রতি ম্যাচেই তারা গোল হজম করছে। ছোট দল গুলোর সাথে মাঝেমধ্যেই হেরে বসছে। তার উপর যখন তখন নেইমারের ইনজুরি দলকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিচ্ছে। বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই নেইমারের অনুপস্থিতি দলের ভারসাম্য নষ্ট করছে যা দলকে দারের দিকে ধাপিত করছে।