মাইটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের রেকর্ড জয়!! 🏏
ZIMBABWE
"ক্রিকেট এক অনিশ্চয়তার খেলা", এই বাক্যটিকেই যেনো আবারো পূর্ণতা দিলো সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া জিম্বাবুয়ের মধ্যকার 2য় ওডিআই ম্যাচ। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট জিম্বাবুয়ে রেকর্ড গড়ে হারিয়েছে ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি মাইটি অস্ট্রেলিয়াকে। তাও আবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই। হা ভাই! এমনটাই ঘটেছে আজকের দিনে। জিম্বাবুয়ে অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বিতীয় ওডিয়াই ম্যাচে ৩ উইকেটের জয়ে পেয়েছে জিম্বাবুইয়ানরা।
ম্যাচের শুরুতেই টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। দু'দলই তাদের শক্তিশালী একাদশ মাঠে নামায়। অস্ট্রেলিয়ার একাদশ ছিলো তারকায় ভরপুর। ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল স্টার্ক, ম্যাক্স ওয়েল, এডাম জাম্পা, স্টিভেন স্মিথসহ সবাই ছিলো একাদশে। অপরদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নেওয়া দলটিকেও এদিন মাঠে নামায় ক্রিকেট জিম্বাবুয়ে। একাদশে ছিলো ইনফর্ম সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল।
সবদিক বিবেচনায় শতগুণে এগিয়ে ছিলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। র্যাংকিংয়ের হিসেবেও ছিলো আকাশ পাতাল পার্থক্য। তাই অস্ট্রেলিয়াই যে ম্যাচটিতে ফেভারিট ছিলো তা নিঃসন্দেহে বলা চলে। তাছাড়া ম্যাচটি ছিলো তাদের মাটিতে, সেই হিসাবে জয় তুলে নিতে তাদের বেগ পাওয়ার কথা নয়! কিন্তু ক্রিকেট যে অনিশ্চয়তার খেলা। নিজেদের দিনে ম্যাচে জয় তুলে নেওয়ার সামর্থ্য আছে জিম্বাবুয়ের বর্তমান দলটি। আর সেটিই তারা মাঠে করে দেখিয়েছে। তবে পুরো ম্যাচ ছিলো নাটকিয়তায় ভরপুর৷
ICC
টসে হেরে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ১০ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। স্টিভেন স্মিথ এবং ফিঞ্চের বিদায়ের পর দলের হাল ধরতে চেষ্টা করেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং আলেক্স ক্যারি। কিন্তু ৩১ রানের মাথায় চাকাভার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে আলেক্স ক্যারি। নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় অস্ট্রেলিয়া দল। কিন্তু এদিন ব্যাট হাতে একাই লড়ে গেছেন ডেভিড ওয়ার্নার।
ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে ওয়ার্নার ৫০+ রানের একটি জুটি করলেও রায়ান বার্লের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন ম্যাক্সওয়েল। এখান থেকেই শুরু হয় রায়ান বার্লে বোলিং তাণ্ডব। একাই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপকে ধ্বংস করে দেন এই অলরাউন্ডার। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে মাত্র ৩ ওবারেই তুলে নেন পাচ পাচটি উইকেট। ফলে ১৪১ রানেই অল-আউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৯৫ রানের একটি ইনিংস খেলেন ডেভিড ওয়ার্নার।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়েকে এক দারুন শুরু এনে দেয় দুই ওপেনার। দলীয় ৩৮ রানে ভাঙ্গে তাদের ওপেনিং জুটি। পরবর্তীতে ৪৪ রানের মাথায় পরপর দুইটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দলটি। একটা সময় ৭৭ রানে পাচটি উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। কিন্তু সেই চাপ সামাল দিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেয় রেগিস চাকাভা। ৭২ বলে ৩৮ রানের একটি মহামূল্যবান ইনিংস খেলেন এই জিম্বাবুয়ান অলরাউন্ডার। ফলে ৩ উইকেট হাতে রেখে মাইটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো জয় পায় দলটি।
নিঃসন্দেহে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম বড় জয় এটি। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট উন্নতির পথে হাটছে তার প্রমান এই জয়। আশা করি তারা আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরবে৷
এটা জিম্বাবুয়ের জন্য অনেক বড় পাওয়া , এবং এখান থেকেই হয়তোবা ক্রিকেটের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়বে কারন তাদের দেশে ক্রিকেটের অবস্থা খুবই শোচনীয় ছিল আশা করব আগের মত করে আবার নিজেদেরকে গড়তে পারে ,
সেই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছি...
নিজেরে দলের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস থাকাই একটি দলের মূখ্য বিষয়। আর এই জয় জিম্বাবুয়ে দলকে নতুনভাবে পথ চলতে বিশ্বাসের পালে হাওয়া দিবে।
আসলেই দলটার মধ্যে অনেক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। প্রতিটা খেলোয়ার জয়ের জন্য মুখিয়ে থাকে যা তাদের বিশ্বাসকে আরো শক্ত করেছে...
জিম্বাবুয়ে "জিরো ফ্যাসিলিটিস" নিয়ে অনেক ভালো করছে ইদানীং,আর আমাদের বাংলাদেশ এতো সুযোগ সুবিধা নিয়ে কি করে এলো!
চোরের দেশ বাংলাদেশ ! এখানে এর থেকে ভালো আশা করাটাও অন্যায়। প্রতিটা প্লেয়ার জাতীয় দলে জায়গা পেয়েই মনে করে তার সব পাওয়া হয়ে গেছে। এখন শুধু আরাম আয়েশ করবে আর একটা সুন্দরী মেয়ে দেখে বিয়ে টা করে নিবে 🫢😃