বিশ্বকাপের আগে বেলজিয়াম, ফ্রান্স এবং ক্রোয়েশিয়ার বিশাল হার !!

avatar
(Edited)


image.png
PIXABAY

গতরাতে উয়েফা ন্যাশনস লীগে ঝর বইয়ে গেছে বড় দলগুলোর উপর। প্রত্যেকটি দলই হেরেছে তাদের তুলনায় ছোট দলগুলোর সাথে। ইউরোপীয় ফুটবলে এই অঘটন প্রায়ই ঘটে থাকে৷ এই যেমন মেসিডোনিয়ার কাছে হেরে ইতালির বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে না পারা সবচাইতে ভালো উদাহরণ। কেননা কিছুদিন আগে এই ইতালিই জয় করেছিলো উয়েফা ইউরো কাপ৷ যেখানে তারা ইউরোপের প্রত্যেকটি শক্তিশালী দলগুলোকে দারিয়েছিলো।

গতরাতে সবচাইতে বর হারের স্বাদ পেয়েছে বিশ্ব ফুটবল ব্যাংকিংয়ে দুই নাম্বার অবস্থানে থাকা বেলজিয়াম। তারা নেদারল্যান্ডের কাছে হেরেছে ৪-১ গোলের ব্যবধানে। কিন্তু এই ম্যাচে তারা ছিলো ফেভারিট। কেভেন ডে ব্রুইনা, ইডেন হ্যাজার্ড আর লুকাকুকে নিয়ে গড়া দুর্দান্ত এক দল বেলজিয়াম। তাছারা এই ম্যাচটি ছিলো বেলজিয়ামের মাটিতে। তাই স্বভাবতই বেলজিয়ামের জয়ের পাল্লাটা অনেকটা ভারী ছিল। কিন্তু তারা মাঠে পারফর্ম করতে পুরোপুরি ব্যর্থ।

শক্তিমত্তা বিবেচনায় নেদারল্যান্ডও অনেক পরিপূর্ণ একটি দল। তারই প্রমাণ দিয়েছে তারা এই ম্যাচে। শুরু থেকে দুদলই সমান তালে খেলতে থাকে৷ বল পজিশন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা পজিশনে কেউ কাউকে ছাড় দেয়নি। কিন্ত সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গোল করতে ব্যর্থ হয় বেলজিয়াম। অপরদিকে সুযোগগুলোকে খুব ভালোভাবে কাজে লাগায় নেদারল্যান্ড। ৪০ থেকে ৬২ মিনিটের মধ্যেই তারা চারটি গোল আদায় করে নেয়। নেদারল্যান্ডের হয়ে এই ম্যাচে জোড়া গোল করেন ডিপাই। ম্যাচের একেবারে শেষদিকে অতিরিক্ত সময়ে একটি গোল করে ব্যবধানটা শুধু কমায় বেলজিয়াম। বিশ্বকাপের আগে এমন জয় নেদারল্যান্ডসের আত্মবিশ্বাসকে অনেকটা বাড়িয়ে দিবে।


image.png
PIXABAY

অপরদিকে দিনের আরেক ম্যাচে মাঠে নেমেছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক । ২০১৮ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স এদিন মাঠে নেমেছিলো তাদের পূর্ণশক্তির দল নিয়ে। এমবাপ্পে, করিম বেনজেমাকে নিয়ে গড়া ফ্রান্সের জয়ের পাল্লাটাই ভাড়ি ছিলো বেশি৷ কিন্তু দিনশেষে মাঠের পারফরম্যান্সে জয়ী তারুণ্য নির্ভর দল ডেনমার্ক।

ম্যাচের শুরু থেকেই ডমিনেন্স করে খেলতে থাকে ফ্রান্স। একের পর এক আক্রমণও করতে থাকে তারা। কিন্তু ডেনমার্ক গোলকিপারের কল্যাণে গোল বঞ্চিত হয় ফ্রান্স । কোন গোল ছাড়াই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। বিরোতি দিকে ফিরে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা করিম বেনজেমার এক অসাধারণ ফিনিশিংয়ে ম্যাচে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। কিন্তু বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি তারা। বদলি খেলোয়ার করনেলোয়াস ৬৮ গোলে করে ডেনমার্ককে সমতায় ফেরান। ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে ৮৮ মিনিটে আবারো গোল করে দলকে জয়টাও এনে দেন এই খেলোয়ার। ফলে ২-১ গোলের ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছারে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

এবারের কাতার বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট দল ফ্রান্স। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে এমন হার তাদের আত্মবিশ্বাসেও কিছুটা আঘাত হানবে। পূর্ণ শক্তি নিয়েও তাদের এমন হার কোচের জন্য ভাবনার বিষয়।

দিনের আরেক খেলায় সাবেক বিশ্বাকাপ রানার-আপ দল ক্রোয়েশিয়াও ৩-০ গোলে হেরেছে অস্ট্রিয়ার কাছে। এই হার তাদের ফিনিশিংয়ের দুর্বলতাকে আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া দলের প্লেয়ারদের ফিটনেস নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন। কেননা এই দলের বেশিরভাগ খেলোয়ারেরই বয়স ৩০ এর ঊর্ধ্বে। ৪০ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যেই তারা তিনটি গোল হজম করেছে। বল কন্ট্রোল ভালো করলেও ক্রিয়েটিভ ফুটবল চোখে পড়েনি এই ম্যাচে। বিশ্বকাপের আগে এমন হার কোনভাবেই কাম্য নয় ক্রোয়েশিয়ার মত দলের কাছে।

সত্যি বলতে গতকাল রাতটি ইউরোপের প্রতিটা শক্তিশালী দলের জন্য ছিল দুঃস্বপ্নের মত। তবে এই হাড় তাদের দুর্বলতাগুলোকে কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। আশা করি তারা প্রত্যেকেই কাতার বিশ্বকাপে তাদের সেরা পারফরম্যান্স প্রদর্শন করবে।



0
0
0.000
1 comments