ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের দুর্দান্ত সিরিজ জয়।

avatar
(Edited)

এক দুর্দান্ত ম্যাচের মাধ্যমে শেষ হলো পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজের। তিনটি ম্যাচেই দাপট দেখিয়ে সিরিজ জয় করে নিয়েছে পাকিস্তান। তাদের প্রত্যেকটা খেলোয়ার ছিলো দারুন ছন্দে। তবে মাঝখানে এই শক্তিশালী দলটাই হারাতে বসেছিল তাদের ক্রিকেটের নামডাক। কিছু অভিজ্ঞ প্লেয়ারের বিদায়ে পুরো দলটাই অগুছালো হয়ে পড়েছিলো। নতুনরা যেন মানিয়ে নিতেই পারছিলো না। তবে বাবর, ইমাম উল হক, ফখর জামান আর শাহীন শাহ আফ্রীদি পিঠে ভর করে পাকিস্তান ক্রিকেট আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পুরোনো পাকিস্তানকে আবারো দেখা যাচ্ছে প্রতিপক্ষের সামনে৷


IMG_20220613_191748.jpg
ICC

পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হয় সবচাইতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন। যেখানে পাকিস্তান জয় পেলেও হতে হতেছে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন। কেননা প্রথমে ব্যাট করে ৩০০ এরও বেশি রানের পাহাড় সমান দক্ষতার করায় তারা পাকিস্তানের জন্য। ওস্টেন্ডিজ ওপেনার শাই হোপ তুলে নেন শতক। এদিকে নিকোলাস পুরানের দুর্দান্ত খেলেছে এই পাহাড় সমান লক্ষ্য দার করায় তারা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু হয়নি পাকিস্তান দলের। শুরুতেই তারায় তারায় ওপেনার ফখর জামানকে। তার পরপরই মাঠে আসেন বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার বাবর আজম। ওপেনার ইমাম-উল-হক কে সাথে নিয়ে গড়েন দুর্দান্ত এক পার্টনারশিপ। তবে ম্যাচের ইতি টানার আগেই সাজঘরে ফিরেন তারা দুজন। ফলে শেষদিকে এসে কঠিন পরীক্ষায় পরে যায় দল। তখন বলের তুলনায় রানের পরিমানও ছিলো অনেক বেশি। ঠিক সেই সময়ই দলের ত্রাণকর্তা হিসেবে মাঠে দাড়ান খুশদিল শাহ। তার দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ের ৩০০ রানের বাধা টপকে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। ২১ বল মোকাবেলা করে ৪০ এর বেশি রান করে সে৷ পরবর্তীতে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন বাবর আজম। কিন্তু ঠিক সেই মই বাবর আজম ম্যাচের সেরা পুরস্কার নিতে আপত্তি জানান এবং শেষদিকে দলকে জয় এনে দেওয়া খুশদিল শাহকে ম্যাচশেরার পুরষ্কার তুলে দেন৷

তৃতীয় ওডিয়াইতে অবশ্য খুব সহজেই জয় তুলে নেয় বাবর আজমের দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান এক কম্পিটিটিভ সংগ্রহ করে। এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিল বাবর আজম। টানা ১২ ম্যাচে তিনি তুলে নেন ৫০ এর বেশি রান। ফলে ওডিআইতে তার ব্যাটিং করা হয় ৬০ এরও বেশি৷ পাকিস্তানের দেওয়া জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা তুলনামূলক ভালো হলেও ওপেনারদের বিদায়ের পর তেমন কেউ মাঠে দাড়াতে পারেনি। পাকিস্তানি বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে এদিন অল্প রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা। ফলে ১০০ রানের বেশি ব্যবধানে জয় পেয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় করেছিলো পাকিস্তান।


FB_IMG_1655126113615.jpg
ICC

ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পাকিস্তানের মধ্যকার শেষ ম্যাচটাও জয় পায় পাকিস্তান। তবে এদিন পাকিস্তানের জয়ের নায়ক ছিলো সাদাব খান৷ ব্যাটিং,বোলিং এবং ফিল্ডিং তিন বিভাগেই অসাধারণ পার্ফমেন্স পারে শাদাব খান। দলীয় ১০০ রানের মাথায় পাকিস্তান ৫ উইকেট হারালে অনেকটা চাপে পড়ে যায়। ঠিক সেই সময়ই দলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায় সাদাব খান। দলকে ভালো অবস্থানে পৌঁছিয়ে ৮৪ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরেন এই অলরাউন্ডার।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আবারো ব্যর্থ। শাদাব খান এর কাছেই তার হার মেনে যায়। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পর বল হাতেও মূল্যবান চারটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ সেরা পুরস্কার অর্জন করেন এই পাকিস্তানী অলরাউন্ডার। পুরো সিরিজ জুরেই পাকিস্তানের পারফরম্যান্স ছিলো দেখার মতো। ব্যাটি, বোলিং এবং ফিল্ডিং তিন বিভাগেই তারা ছিলো অনবদ্য। আশা করা যায় সামনের সিরিজগুলোতেও তারা তাদের এই দুর্দান্ত ফর্মে ধরে রাখবে।



0
0
0.000
2 comments
avatar

হা সিরিজ টা খুব ভালো হলো।

0
0
0.000