প্রিয় ফরমেটেও জয়ের দেখা পেল না টিম টাইগার্স । 🏏

avatar

এই তো কয়েক দিন হলো জিম্বাবুয়ের সাথে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ হেরে টি-টুয়ান্টি ক্রিকেট ইতিহাসে লজ্জার এক রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। এটাই ছিলো জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে তাদের প্রথম সিরিজ জয় বাংলাদেশের বিপক্ষে ।

তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা ছিলো নতুন শুরুর স্বপ্ন। তরুণ প্রজন্মের ক্রিকেটার দের সুযোগ দিয়েই তাদের হাতে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ কে দেখতে চেয়েছিলো বিসিবি। কিন্তু ঠিক ওল্টো পথে হেটেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল৷
যে জিম্বাবুয়ে টাকার অভাবে খেলার সরঞ্জাম কিনতে পারে না এবং টি-টুয়ান্টি ক্রিকেটে যারা বর্তমানে বিশ্বকাপেই সুযোগ পায়না সেই জিম্বাবুয়ের কাছেই বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ।

তাও সিরিজ হার৷ সেই ব্যর্থতার বৃত্ত ভুলে ওয়ানডে সিরিজে নতুন করে শুরু করবে সেখানেও ওল্টো দশা বাংলাদেশের৷ এটাই ছিলো বাংলাদেশের একমাত্র প্রিয় ফরমেট৷ যে ফরমেটে বাংলাদেশ ভালো খেলে। গত কয়েক বছর ধরে এই ফরমেটে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভালোই সাফল্য ছিলো।

মাশরাফি বিন মুর্তজার হাত ধরেই ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের নতুন যাত্রা শুরু হয়েছিলো৷ হারের বৃত্ত থেকে বের হয়ে জয়ের পথে হাঁটতে শুরু করে বাংলাদেশ। দেশের বাইরে জিততে না পারা দলটাও দেশের বাইরেও ভালো খেলতে শুরু করে। বড় বড় সব দলের বিপক্ষেও জয় পেয়ে ছিলো বাংলাদেশ। এমন কি ওয়ানডে চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতেও অসাধারণ পারফরম্যান্স করে ছিলো বাংলাদেশ।

এরপর ওয়ানডে বিশ্বকাপও ভালো খেলেছিলো বাংলাদেশ। তারপর মাশরাফি বিন মুর্তজার অধিনায়কের পথ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর থেকেই নেতৃত্বের দায়িত্ব পরে তামিম ইকবালের ওপর। তামিম ইকবালের হাতেও বাংলাদেশ ভালোই খেলতে ছিলো।

Bangladesh-gfx.webp
IMG

কিন্তু এবারের জিম্বাবুয়ে সফরে সেই পুরনো চিত্র আবার ভেসে উঠেছে বাংলাদেশের সামনে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর ওয়ানডেতেও সেই ভরাডুবি অবস্থা বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দুই উইকেটে ৩০৩ রানের টার্গেট দেয়।
বাংলাদেশের পক্ষ হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছিলো লিটন দাস। তিনি ৮৯ বলে ৮১ রান করেছিলো৷ কিন্তু পায়ের ইনজুরি পরে ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি৷ তাছাড়া তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয় এবং মুশফিকুর রহিমেরও ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন।

তবেই এই ম্যাচে বাংলাদেশের ৩৫০ রানের মতো করতে পারতো। কারন বাংলাদেশের হাতে উইকেট থাকার পরও দৃঢ় গতির ব্যাটিং করেছিলো তামিম, মুশফিক, লিটন দাস রা। অপর দিকে এই রান তারা করতে নেমে প্রথমে জিম্বাবুয়ে পথ হারালোও সিকান্দার রাজা আর ইনোসেন্টের হাত ধরে জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে।
সিকান্দার রাজার ১০৯ বলে অপরাজিত ১৩৫ রানের উপর ভর করে সহজেই ১ ওভার হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে৷ বোলিংয়ে মোস্তাফিজ, মেহেদী মিরাজ রাও ছিলেন অসহায়।

বাংলাদেশের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজ হারের পর ওয়ানডেতেও এমন হার নেটিজেনদের সমালোচনার শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজ হেরে লজ্জার রেকর্ড গড়বে কিনা সেটাই দেখা এখন সময়ের অপেক্ষা।



0
0
0.000
2 comments
avatar

কিছুদিন আগে যখন বাংলাদেশ ওয়ানডে তে দারুণ খেলতো।তখন জিম্বাবুয়ে আসলে তাকে উরাধুরা হারিয়ে দিতো,তখন জিম্বাবুয়ের প্রতি মায়া হতো, ভাবতাম দূর একটা ম্যাচে অন্তত বাংলাদেশ ইচ্ছা করে হারুক।কিন্তু ঐ জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশকে এভাবে একের পর এক ম্যাচে হারাবে তা ভাবতে পারিনি।

0
0
0.000
avatar

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে প্লেয়াররা যতটা সুযোগ সুবিধা পায়। জিম্বাবুয়ে প্লেয়াররা ঐরকম সুযোগ সুবিধা পেলে তারা আরো অনেক ভালো করতো।

0
0
0.000