ওয়ানডেতে অপ্রতিরোধ্য টিম টাইগার্স ।।
শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ মিশন। এই বছর ১৬ই জুন শুরু হয় বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর তিন ফরমেটের সিরিজ। বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছে দুইটা টেস্ট ম্যাচ সিরিজ, তিনটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ সিরিজ আর তিনটা ওয়ানডে ম্যাচ সিরিজ। শুরুতে টেস্ট ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ দুইটাতেই হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। টেস্ট সিরিজে খুব বাজেভাবে হেরেছে টিম টাইগার্স । প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ উইকেটে হারে টিম টাইগাররা।
এরপর ২ জুলাই থেকে শুরু হয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের সিরিজ পরাজয় এর লজ্জা। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যাগত হয় কিন্তু পরের দুইটাতেই হারে টিম টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৫ রানে এবং তৃতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। পুরো টি-টোয়েন্টি সিরিজেই ছিলো বাংলাদেশ টিমের পাওয়ার হিটার ব্যাটসম্যানের অভাব।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ পরাজয় এবং একটা ম্যাচেও জয়ের দেখা মেলেনি টিম টাইগারদের। তবে সব শেষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে সস্তির নিশ্বাস ফেললো সবাই। একটা কথা আছে না "শেষ ভালো যার সব ভালো তার" আপাদত এইটুকু নিয়েই সস্তি। অন্তত ট্রফি হাতে হাসি মুখে ফিরতে পারবে বাংলাদেশ।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে জয়ের দেখা না মিললেও ওয়ানডেতে অপ্রতিরোধ্য টিম টাইগার্স। ওয়ানডে সিরিজে টানা তিন ম্যাচ জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইট ওয়াশ করলো বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা ১১ ম্যাচে অপরাজিত টিম বাংলাদেশ। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৫ ম্যাচের মধ্যে ১৩ টিতেই জিতেছে টিম বাংলাদেশ।ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে টছে জিতে ফিল্ডিং নেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ব্যাটিং করতে নেমে তাইজুল, মোস্তাফিজ, নাসুমদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৭৮ রানে থামিয়ে দেয় বাংলাদেশ। ১৭৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৯ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটে জয় লাভ করে বাংলাদেশ।
ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে, দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ উইকেটে এবং তৃতীয় ম্যাচে ৪ উইকেটে জয় লাভ করে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজে ১১৭ রান করে ওয়ানডে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হন তামিম ইকবাল। প্রথম ম্যাচে তিনি ব্যাট হাতে ২৫ বলে ৩৩ রান করেন, দ্বিতীয় ম্যাচে করেছেন ৬২ বলে ৫০ রান আর শেষ ম্যাচে করেছেন ৫২ বলে ৩৪ রান। আর শেষ ম্যাচে অসাধারণ বোলিং পারফর্মেন্সে ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় হন তাইজুল ইসলাম। ১০ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ছিনিয়ে নেয় ৫ টা উইকেট।
টেস্ট ও টি টোয়েন্টি কোনো ফরমেটেই ছিলেন না এই তাইজুল ইসলাম। আবার ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ২টাতেও ছিলেন না তিনি। শেষ ম্যাচে শরিফুলের পরিবর্তে সুযোগ দেওয়া হয় তাইজুল ইসলামকে। ২ বছর পর জাতীয় দলে খেলার সুযোগ হলো তাইজুল ইসলামের। তবে এই সুযোগটাকে খুব ভালো ভাবে কাজে লাগিয়েছেন এই বাম হাতি স্পিনার। এইদিকে তাইজুলের সাথে সাথে মুস্তাফিজও ভালো বল করেছেন শেষ ম্যাচে। ৯ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ছিনিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। সাথে নাসুমও ৯ ওভার ৪ বলে উইকেট পেয়েছেন ২টা। শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে আফিফ, শান্ত ভালো একটা রান করতে না পারলেও লিটন, মাহমুদুল্লাহ, নুরুল ব্যাট হাতে ভালো খেলেছেন। শেষ ম্যাচে অর্ধশত করেছেন লিটন দাস। সব মিলিয়ে সবার ভালো পারফরমেন্সে জয় লাভ করে টিম বাংলাদেশ। অভিনন্দন ও শুভ কামনা রইলো টিম বাংলাদেশের জন্য।
Congratulations @imam-hasan! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s):
Your next target is to reach 100 posts.
Your next target is to reach 2250 upvotes.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
To support your work, I also upvoted your post!
Support the HiveBuzz project. Vote for our proposal!