প্রিয় খেলোয়াড়, খেলবেন না আর তার প্রিয় ফরমেটে ।।

avatar
(Edited)

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আমার একটা আবেগের স্থান। আমার ছোটবেলার প্রিয় খেলা ছিলো ক্রিকেট। কিন্তু যখন আসতে আসতে বড় হতে থাকি তখন ক্রিকেটের সাথে প্রিয় খেলায় ফুটবল টাও যোগ হয়। ফুটবল টা যোগ হওয়ার একটা কারন আছে। সেটা হলো আর্জান্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির জন্য। কারন লিওনেল মেসির খেলা দেখেই ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা শুরু হয়। এবং নিজেও ফুটবল খেলার প্রতি অনেকটা মোহে পরে যায়।

সেটা এখন খুবই উপভোগ করি দেখতে এবং খেলতে। ঠিক তখনি যখন আমি ছোট ছিলাম ফুটবলের প্রতি নেশা হওয়ার আগে ক্রিকেট নিয়েই সব সময় পরে থাকতাম। আর সেই সময় টায় বাংলাদেশ ক্রিকেটে নতুন এক ওপেনারের আবিষ্কার হয়ে ছিলো ২০০৭ বিশ্বকাপে। খুবই সাহসী একজন ব্যাটসম্যান অনায়াসে সব বলারদের খেলে যেতেন। নেমেই চার ছক্কা মেরে কিছুক্ষণ খেলেই আউট হয়ে যেতেন। তখন থেকেই তামিম ইকবাল কে খুবই ভালো লাগতো। তার খেলার দর্শন আমাকে খুবই মুগ্ধ করেছিলো।

এরপর থেকেই তামিম ইকবালের খুবই ভালো একজন ভক্ত হয়ে পরি৷ কিন্তু খান সাহেব তার অভিষেকের বছর খানিক পরেই নিজেকে যেন হারিয়েই ফেলেছিলেন৷ ধারাবাহিক খারাপ পারফরম্যান্স এর কারণে দলে ঠিকে থাকায় দায় হয়ে দাড়িয়ে ছিলো। তারপরেও দলে সুযোগ পেয়েছিলো সেটা হয়তো অনেক টা তার কাকার জোরেই।

images (23).jpeg
IMG

কিন্তু সেবার প্রমান করেছিলো তিনি যেন হারিয়ে যাওয়ার জন্য জন্ম হয়নি। অসাধারণ পারফরম্যান্স করে ছিলেন এশিয়া কাপে। চার ম্যাচে টানা চার টাতেই করেছিলেন ফিফটি। সেই সময় টাই তার অসাধারণ পারফরম্যান্স নিয়ে যায় বাংলাদেশকে এশিয়া কাপের ফাইনালে। যদিও তখন ফাইনালটা জিততে জিততেও হেরে গিয়েছিলো।

কিন্তু তখন থেকেই তামিম দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের নতুন দর্শনের ব্যাটিং শুরু করেন। তার তখন ধারাবাহিক পারফরম্যান্স বিপিএলেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে শিরোপা জিততে সাহায্য করেন। এর পর মাশরাফি ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অধিনায়ক হিসেবে সরে দাড়ানোর পর থেকেই ওয়ানডে ক্রিকেটের অধিনায়কের দায়িত্ব পান তিনি। আর একদম সফল অধিনায়কের ভুমিকা পালন করেছেন তিনি। তার আমলে একটি সিরিজ ছাড়া সব গুলো সিরিজেই জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। আর সেই অসাধারণ পারফরম্যান্স করতে থাকা তামিম ইকবাল বাংলাদেশের সর্ব কালের সেরা ওপেনার ব্যাটসম্যান তিনিই টি-টুয়ান্টি দল থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন। সেটা অনেক দিন আগে থেকেই বোর্ডের সাথে মনোমালিন্যের জেড়ে টি-টোয়েন্টি থেকে নিজেকে অনেক গুলো সিরিজ থেকেই সরিয়ে রেখেছেন। এমনকি সেটা গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও।

প্রিয় সেই খেলোয়াড় আজীবনের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ক্রিকেট খেলবে না সেটা সত্যিই মেনে নিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। তামিমের অসাধারণ ব্যাটিং মনোমুগ্ধকর সেই শট গুলো আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আর দেখতে পারবো না সেটা সত্যিই অনেক খারাপ লাগতেছে৷ অথচ এই তামিম ইকবালের প্রিয় ফরমেট ছিলে টি-টোয়েন্টি। তারপরেও প্রিয় খেলোয়াড়ের সিদ্ধান্ত কে সম্মান জানায় এবং অন্য সব ফরমেটের জন্য দোয়া এবং শুভকামনা রইলো খান সাহেবের জন্য।

FB_IMG_1658337539770.jpg
IMG



0
0
0.000
0 comments