মেসির ৩৫ তম জন্মদিন

avatar

images (20).jpeg
IMG

গতকাল ২৪ শে জুন ছিলো ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির ৩৫ তম জন্মদিন। এই মহাতারকার জন্মদিন টা আসলেই যেন বিশ্ব সোশাল মিডিয়া মেসিময় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ঔই দিনটাতে ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারে যত পোস্ট হয় তার বেশির ভাগেই যেন লিওনেল মেসিকে নিয়ে । এবারো তাই হয়েছে।

আমি ফেইসবুকে মোটামুটি ভালোই একটিভ থাকি। তার জন্মদিনের একদিন আগে থেকেই ফেইসবুকে অনেকেই শুভেচ্ছা জানাতে দেখতেছিলাম৷ কিন্তু ২৪ শে জুন রাত ১২ টার পর থেকেই যেন পুরো ফেইসবুক মেসিময় হয়ে ওঠে। মেসির এই আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা ও সারা পৃথিবীর কোটি কোটি ভক্তদের ভালোবাসার কারন হয়ে ওঠেন এমনি এমনি নয়। তার নান্দনিক বাঁ পায়ের কারুকাজ, ক্ষিপ্রতা, অসাধারণ ড্রিবলিং, বাঁ পায়ের সেই বাঁকানো ফ্রী কিক পুরো ফুটবল বিশ্বের ফুটবল সাপোর্টাদের বাধ্য করেছে মেসিকে ভালোবাসতে।

শুধু মাঠেই তার অসাধারণ পারফরম্যান্স সবাইকে মুগ্ধ করেনি মাঠের বাইরেও তিনি এক অসাধারণ মানুষ। ৫.৭" ইঞ্চির মানুষ টার রয়েছে অসাধারণ ব্যাক্তিত্ব,নম্রতা, ভদ্রতা যেন বাকি সকল তারকাদের ছাড়িয়ে। এমন কি সামাজিক কাজের সাথেও খুব ভালো ভাবেই সম্পৃক্ত তিনি। তাই হয়তো পক্ষ প্রতিপক্ষ সকল দলের সাপোর্টার গনের এক ভালোবাসার নাম মেসি। মেসির মতো সারা পৃথিবী জুড়ে আকাশচুম্বী এত জনপ্রিয়তা ফুটবল বিশ্বের আর কোনো তারকারেই হয়নি। তাই তো তার জন্মদিন আসলে সারা পৃথিবী জুড়েই তার জন্মদিন উদযাপিত হয়। এমন কি বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মেসির জন্য বড় বড় ব্যানার করে, মেসির জার্সি পরে কেক কেটে থাকে এবং অনেক আনন্দ ফুর্তি করে থাকে।

FB_IMG_1656169383500.jpg
IMG

কিন্তু মেসির জন্মদিন আসলে আমার যতটুকু আনন্দ হয় ঠিক ততটুকুই আবার মন খারাপ হয়। আনন্দ হওয়ার কারন টা হয়তো সবারেই জানা কারন লিওনেল মেসির জন্ম না হলে ফুটবলের এত সৌন্দর্যের মুহুর্ত কখনোই উপভোগ করতে পারতাম না।তার জাদুকরী পারফরম্যান্সে কত শত শত মুহুর্তের সাক্ষী হয়েছে এই ফুটবল বিশ্ব। তিনি তার জাদুকরী পায়ে গড়েছেন রেকর্ডের পর রেকর্ড। এমন কি তার এমন কিছু রেকর্ড রয়েছে যেগুলো অন্য কারো পক্ষেই ভাঙা সম্ভব না। তাই তো অনেকেই তাকে এলিয়েন বা ভিনগ্রহের ফুটবলার বলে থাকেন। আর সেই ভিন গ্রহের ফুটবলারের জন্মদিন আসতেই আমার মন খারাপও হয় কারন তার জাদুকরী মুহুর্ত দেখার বেলা যে ফুরিয়ে আসতেছে।

এই তো গত কালকে তিনি ৩৫ বছর বয়সে পা রেখেছেন আর হয়তো কয়েকটা বছর তিনি ভালো ভাবে ফুটবল খেলে যেতে পারবেন। এর পর হয়তো আর কখনোই সবুজ গালিচায় রাজ করতে দেখা যাবে না সাত বার ব্যালন ডি'র জয়ী এই মহাতারকা কে৷ কিন্তু সর্বকালের অন্যতম সেরা এই মহাতারকা অনেক আগেই নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। তার পরেও ফুটবলে শেষ বলতে কোনো শব্দ নেই। প্রিয় তারকা আরো কয়েক বছর যেন ইনজুরি মুক্ত হয়ে সুন্দর ফুটবল খেলে যেতে পারেন সেই প্রার্থনা রইলো।



0
0
0.000
1 comments