আফগানদের বিপক্ষে টাইগারদের সিরিজ পরাজয়।

avatar

বাংলাদেশ আফগানিস্তানের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের দেখা পেল না বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের দুইটাতেই হেরে ২-০ তে সিরিজ পরাজয় এখন নিশ্চিত বাংলাদেশের।

যে কোনো দলের ব্যাটিং এর শুরুটা ভালো হলে সবটাই ভালো হয় এটাই দেখে আসছি সব সময়। শুরুতে ওপেনিং ভালো একটা রান করলে সাথে সাথে পুরো দলই যেনো ভালো খেলে, ভালো একটা রান চলে আসে পুরো দল থেকে। ভালো দল সাজানোর জন্য ভালো মানের ওপেনিং ব্যাটসম্যান থাকাটা খুবই জরুরি। বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনে ওপেনিং ব্যাটসম্যান এর সমস্যা অনেক দিনের। বাংলাদেশের ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিম ইকবালকেই দেখেছি ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলতে। এখন পর্যন্ত তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং করার মতো স্থায়ী ব্যাটসম্যান পাওয়া যায় নি। যে কিনা স্থায়ী ভাবে ওপেনিং এ থাকলো। এই কয়েক বছরের মধ্যে কত খেলোয়াড় এলো গেলো কেউই স্থায়ী হতে পারে নি। বাংলাদেশ জাতীয় দলে এসে শুরুতে ভালো খেললেও দেখা যায় এরপর আর ভালো পারফর্ম করতে পারছে না।

101592328.jpg
Img

আর যে তামিম বাংলাদেশের দলের হয়ে ওপেনিংয়ে ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলেছেন। বাংলাদেশ দলের জন্য এত কিছু দিয়েছেন, কত কত ম্যাচ জিতেছে এই তামিমের ব্যাট থেকে। সে গুলো মানুষ এখন ভুলে গেছে। সেই তামিমকে মানুষ এখন গালি দেয় তার বর্তমান বাজে পারফর্মের কারণে। একটা মানুষ তার খেলার জীবনে অফ ফোমে থাকতেই পারে তাই বলে তাকে গালি গালাজ করা কি আদো ঠিক? তাদেরকে বলতে চাই, যারা তামিমকে গালি দেয়,বাংলাদেশ দলের হয়ে তিনি যত টুকু করেছে, আপনি নিজে কত টুকু করেছেন? বা অন্য খেলোয়াড়রা করেছে? যাক এইগুলো বাদ দিয়ে এখন কালকের খেলার প্রসঙ্গে আসি।

দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলেছেন লিটন দাস, মোহাম্মদ নাইম, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, তৌহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান। এখানে বাংলাদেশ দলের দুইটা পরিবর্তন আনে, তামিম আর তাসকিন এর পরিবর্তে খেলেন মোহাম্মদ নাঈম আর এবাদত হোসেন। আর আফগানিস্তানের দলের হয়ে খেলেছেন রাহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদি , মোহাম্মদ নবী, নাজিবুল্লাহ জাদরান, রশিদ খান, ফজলহক ফারুকী, মুজিব উর রহমান, আজমাতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ সেলিম সাফি।

বাংলাদেশ আফগানিস্তানের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক লিটন দাস। আফগানিস্তান ব্যাটিং করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই দুর্দান্ত খেলেন রহমানুল্লাহ গুর্বাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ৩৬ ওভার ১ বলে ২৫৬ রানের দুর্দান্ত একটা পার্টনারশিপ করেন এই দুই ওপেনার। রহমানুল্লাহ গুর্বাজ ব্যাট হাতে ৮ টা ছয় ও ১৩ টা চার দিয়ে ১২৫ বলে করেন ১৪৫ রান। আবার এদিকে ইব্রাহিম জাদরান ব্যাট হাতে ১ টা ছয় ও ৯ টা চার দিয়ে ছেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৫০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের রানের সংগ্রহ গিয়ে দাড়ায় ৩৩১ রান।

FB_IMG_1688972866743.jpg
Img

৩৩২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ১০ ওভার শেষ হতে না হতেই ২৫ রানে ৩ উইকেট হারায় টাইগাররা। টাইগারদের কারো ব্যাট থেকেই তেমন একটা ভালো রান আসেনি। আফগানদের বোলিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল বাংলাদেশের টাইগাররা। একমাত্র মুশফিকুর রহমান হাফ সেঞ্চুরির মুখ দেখতে পায়। তিনি ৮৫ বলে করেন ৬৯ রান। ৪৩ ওভার ২ বলেই সব উইকেট হারায় টাইগাররা। সব শেষে টাইগারদের ১৪২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় আফগানরা। সামনে বিশ্বকাপ এর আগে এমন হার আসলে মানার নয়। তবে বিশ্বকাপের আগে এমন পরাজয় থেকে অনেক শিক্ষা নেওয়া উচিত বাংলাদেশের এবং যেখানে যেখানে কমতি আছে সেগুলো পূরণ করা দরকার। শুভ কামনা রইলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য। সামনে ভালো কিছু করবে এটাই আশা করি।



0
0
0.000
0 comments