সুপার ফোরে ওঠা হলো না আফগানদের। 🏏
চলছে এশিয়া কাপের ১৬ তম আসর। ছয় দলকে দুইটা গ্রুপে ভাগ করা হয়েছিলো এবং গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হয়ে এখন অপেক্ষা সুপারফোর এর। দুই গ্রুপ থেকে মোট চার দল খেলবে পরবর্তী পর্ব। গতকাল আফগানিস্তান ও শ্রীলংকার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শেষ হলো এবারের এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ গুলো।তবে আফগানিস্তান ও শ্রীলংকার এই ম্যাচটা ছিলো দুই দলের জন্য অনেক গুরত্বপূর্ণ ম্যাচ। দুই দলই মাঠে নেমেছিলো সুপার ফোরে ওঠার লড়াইয়ে। বাংলাদেশকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে ছিলো শ্রীলংকা। কিন্তু এদিকে আফগানিস্তান বাংলাদেশের কাছে হেরে পয়েন্ট টেবিলে পিছিয়ে ছিল শ্রীলংকার থেকে। তারপরও একটা সুযোগ ছিলো আফগানদের হাতে, সুপার ফোরে কোয়ালিফাই করার জন্য শ্রীলংকাকে হারাতে হবে বড় ব্যবধানে।
শ্রীলংকার হয়ে মাঠে খেলেছেন পথুম নিসাঙ্কা, দিমুথ করুনারত্নে, কুসল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), সাদিরা সামারাউইক্রমা, চরিথ আসালাঙ্কা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দাসুন শানাকা (সি), দুনিথ ওয়েললাগে, মহেশ থেকশানা, কাসুন রাজিথা, মাথিশা পাথিরানা। আর এইদিকে আফগানিস্তানের হয়ে মাঠে খেলেছেন রাহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদি (সি), নজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নায়েব, করিম জানাত, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকী।
শুরুতে টসে জিতে ব্যাট করতে মাঠে নেমে পরে লংকানরা। তবে আফগানদের শক্ত বোলিং লাইনআপ তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি লংকানদের কাছে।লংকানদের হয়ে প্রথমে মাঠে নামেন পথুম নিসাঙ্কা এবং দিমুথ করুনারত্নে। প্রথম উইকেটের পতন ঘটে ১০ ওভার ২ বলে এবং স্কোর বোর্ডে তখন ছিলো ৬৩ রান। প্রথমে ৩৫ বলে ৩২ রান করে আউট হন দিমুথ করুনারত্নে। এরপর ব্যাট হাতে ৪০ বলে ৪১ রান করে আউট হন পথুম নিসাঙ্কা। এরপরই আবার আউট হন সামারাউইক্রমা, ৮ বলে মাত্র ৩ রান করেই মাঠ ছাড়েন তিনি। তবে কুসল মেন্ডিস মাঠে নেমে শক্ত হাতে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। ৮৪ বলে ৯২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন কুসল মেন্ডিস। কুশল মেন্ডিস আউট হওয়ার পর দল একটু বিপাকে পড়লেও বাকি খেলোয়াড় গুলো ভালো খেলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
আফগানিস্তানের সেরা বোলার রাশেদ খান এবার এশিয়া কাপে তেমন একটা সুবিধা করতে পারে নি। শ্রীলংকার সাথে পেয়েছে মাত্র ২ উইকেট আর ১০ ওভার বল করে রান দিয়েছে ৬৩ রান। মুজিবুর রহমান নিয়েছে ১ উইকেট আর ১০ ওভার বল করে রান দিয়েছেন ৬০ রান। গুলবাদিন নিয়েছেন ৪ উইকেট আর ১০ ওভার বল করে রান দিয়েছেন ৬০ রান। রান রেটে তেমন একটা আটকাতে পারেনি প্রতিপক্ষ শ্রীলংকাকে।
তবে ব্যাট হাতে দাপটে খেলে গেছেন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। পুরো ম্যাচেই তারা চেষ্টা করেছেন সুপারফোরে ওঠার জন্য। সুপার ফোরে কোয়ালিফাই করার জন্য তাদের দরকার ছিলো ৩৭ ওভার ১ বলে ২৯২ রান। শুরুতে ওপেনারা ভালো না খেললেও পরবর্তীতে আসা খেলোয়াড়রা অনেক ভালো খেলে। রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদি, মোহাম্মদ নাবি এরা অনেক ভালো খেলে গেছেন। রহমত শাহ ব্যাট হতে করেছেন ৪০ বলে ৪৫ রান, হাশমতুল্লাহ শাহিদি ব্যাট হাতে করেছেন ৬৬ বলে ৫৯ রান, মোহাম্মদ নাবি ব্যাট হাতে খেলেছেন ৩২ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। রাশেদ খান ও ব্যাট হাতে ভালো চেষ্টা করেছেন ১৬ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। কিন্তু শত চেষ্টার পরও একটুর জন্য কোয়ালিফাই করা হলো না তাদের। সবশেষে ২ রানের জন্য লংকানদের কাছে হেলে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে পড়ল আফগানিস্তান।