বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ক্ষরা যেনো কাটছেই না

avatar


SOURCE

আশা করি সকল ক্রিকেট প্রেমীরা ভালো আছেন। দেখতে বসেছিলাম বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে দলের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ। প্রথম ম্যাচের পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ভালো খেলবে ও জয় পাবে আশা ছিলো। তবে ভাগ্যের লেখন যায় না খন্ডন, পরাজয় যেনো এক শক্তিশালী সঙ্গী হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্যে। বলাবাহুল্য যে যথেষ্ঠ বিনোদন ও ভালো খেলা দেখতে পেয়েছি এটা সত্যি কথা। তবে সকল আনন্দ ও অভিনন্দন শুধুমাত্র জিম্বাবুয়ে দলের জন্য।

প্রথমেই টসে জিতে জিম্বাবুয়ে দল বাংলাদেশকে ব্যাটিং করার সুযোগ করে দেয়। আর যেনো মনে হচ্ছে টসের জয় পরাজয়কে সুন্দরভাবে ধারাবাহিক রেখেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। একটা জিনিস খুব সহজভাবেই জিম্বাবুয়ে দল বুঝিয়েছে, তারা বাংলাদেশ দলের দেয়া যেকোনো টার্গেট রানকে একদম ঠান্ডা মাথায় অতিক্রম করার মতো যথেষ্ঠ প্রস্তুতিসম্পন্ন্ করেই তারা মাঠে নেমেছিলো এবং তা বাস্তবে রুপান্তরীত করেও তারা দেখিয়েছে।

বাংলাদেশের বেস্ট ওপেনার তামিম ইকবাল এবং এনামুল হক বিজয়ের শুরুটা মোটামুটি সুন্দর হলেও, সেই ধারাবাহিকতা বেশিক্ষণ ছিলো না। আর সেই সুবাদে তামিমের কাছ থেকে ৫০ রানের একটা ছোট্ট ম্যাচ পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের সুন্দর ব্যাটিং এর সাহস জাগিয়েছিলো। তামিমের আউট হবার পরে ব্যাটিং করতে আসে শান্ত এবং দুঃখজনকভাবে শান্তের স্ট্রেইট ব্যাটিং এর ফলে আউট হয়ে যায় বিজয়। তার সাথে আমরা দেখতে পাই মুশফিকুর রহিম ও শান্তের ব্যাটিং, আর কোনো ব্যাটস ম্যান যেনো মাঠে বেশিক্ষণ টিকতেই পাড়ছে না জিম্বাবুয়ে দলের বোলারদের সামনে। মুশফিক আউট হলে মাঠে আসে মাহমুদুল্লাহ আর শান্তের উইকেটের পরে মাঠে নামে আফিফ। একটা জিনিস বুঝতেই পাড়লাম না, রানের ধারাবাহিকতা যথেষ্ঠ সুন্দর থাকার পরেও অহেতুক এভাবে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটগুলো বিলিয়ে দিচ্ছে কেনো! আফিফ ও মাহমুদুল্লাহর মোটামুটি সুন্দর একটা জুটি হলেও ৪২ বলে ৪১ রান করে আউট হয়ে যায় আফিফ। অপরদিকে মিরাজ ব্যাট করতে নেমে সেও আউট । দেখে মনে হচ্ছিলো এ যেনো নিজেদের উইকেটগুলো জিম্ববুয়ে দলকে উপহার দিচ্ছে। অবশেষে মাহমুদুল্লাহ ৮৩ বলে ৮০ রানের মাধ্যমে বাংলাদেশ দলের স্কোর দাঁড়ায় ২৯০। ২৯০ রানকে মোটামুটি ফাইটিং স্কোর বলা যায়।


SOURCE

দ্বিতীয় অর্ধে জিম্বাবুয়ে দল ২৯১ রানের জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ১৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে রান করে মাত্র ৪৯। অবশ্য সুনাম না করলেই না, প্রথম ১৫ ওভার বাংলাদেশ দলের বোলাররা যথেষ্ট নিয়ন্ত্রিত বলিং করার চেষ্ঠা করেছে। তবে যেই মাত্র সিকান্দার রাজা ব্যাটিং করতে শুরু করেছে সব যেনো এলোমেলো হয়ে গেসে। আর সেই সাথে রাজার সাথে যোগ দিয়েছিলো রেজি চাকাভা। সিকান্দার রাজা ও রেজিস চাকাভার ব্যাটিং নৈপুন্যে তারা দুজনই দুটি অসাধারণ সেঞ্চুরী করে জিম্বাবুয়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে আসে। সেই সুবাদে রেজিস চাকাভা আউট হয় ৭৫ বলে ১০২ রান করে। আর অপরদিকে সিকান্দার রাজার চমৎকার ব্যাটিং এর সাথে যোগ দেয় মুনইয়োঙ্গার দুর্দান্ত ব্যাটিং। সবশেষে ১৫ বল বাকি থাকতেই অসাধারণ জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে দল। আর সিকান্দার রাজা সেতো রাজার মতোই ১২৭ বলে ১১৭ রানে অপরাজিত ব্যাটসম্যান থেকে গেলো।

আর সত্যিই সিকান্দার রাজার পর পর ২ ম্যাচে দুটি অপরাজিত সেঞ্চুরী থেকে সকল উদীয়মান তরুণ ব্যাটসম্যানদের অনেক কিছু শেখারে আছে। আমাদের বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের জন্যে বিশেষ করে। সমস্ত দ্বিতীয়ার্ধে খুব সিকান্দার রাজা ও রেজিস চাকাভার ব্যাটিং সময় থেকে জয়ী হওয়ার আগে পর্যন্ত বাংলাদেশ দল তেমন ফিল্ডিং করার সুযোগ পায়নি বললেই হয়। খেলায় জয় পরাজয় থাকবে এটা যেমন স্বাভাবিক, ঠিক তেমনি জিম্বাবুয়ে দলের ব্যাটিং নৈপুণ্য দ্বারা জয়ের ধারাবাহিকতাও স্বাভাবিক রেখে ২-০ তে ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে নিয়েছে।

যা বলার তাতো বলতেই হয়, আশা করি আমাদের দল এই পরাজয়গুলো থেকে সঠিক শিক্ষা নিয়ে সামনের দিনগুলোতে ভালো খেলবে ও দেশের সম্মান আর না কমিয়ে বাড়ানোর চেষ্ঠা করবে।

ধন্যবাদ।



0
0
0.000
3 comments
avatar

কাটবেও না। দলের খেলোয়ারে পরিবর্তন আসলেও ম্যানেজমেন্টে তো কোন পরিবর্তন আসেনা।

0
0
0.000
avatar

ম্যানেজমেন্টের বলদ গুলারে তাইলে কেমনে পরিবর্তন করা যায়!!

0
0
0.000