বেন স্টোকসের অবসর অবাক করেছে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব কে ।।
হঠাৎ করেই বেন স্টোকসের অবসর পুরো ক্রিকেট বিশ্বকেই অবাক করে দিলো। কারন সাউথ আফ্রিকার সাথে দুই ম্যাচে তার ব্যাট না হাসলেও গত কয়েক বছর ধরে অসম্ভব ভালো পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন তিনি। এমনকি ওয়ানডে বিশ্বকাপের জয়ের নায়কও তিনি। অবশ্যই ক্রিকেট প্রেমীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের কথা মনে আছে। কি দানবীয় পারফরম্যান্সটায় না করেছিলেন তিনি। একাই দলকে হারতে থাকা ম্যাচ ড্র করিয়েছিলেন। এরপর আবার সুপার ওভারেও অসাধারণ নাটকীয় জয় উপহার দিয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ড পেয়েছিলো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের কাতারে। সেই বিশ্বকাপে বোলিং ব্যাটিং অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি। তার অলরাউন্ডার নৈপুণ্যে ইংল্যান্ড সেবার বিশ্বকাপ ট্রপিটা নিজের করে নিয়েছিলো।
আগামী বছরই ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। অথচ সেই বিশ্বকাপ দলে থাকবেন না গত বিশ্বকাপ জয়ী মহাতারকা। সাউথ আফ্রিকার সাথে শেষ ম্যাচ টায় ছিলো ওয়ানডে ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে তার শেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচে তাকে বিদায়ী
সংবর্ধনাও দিয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা।
তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডে জার্সি গায়ে খেলেছেন ১০৫ ম্যাচ। ১০৫ ম্যাচ খেলে তিনি ৩ টি সেঞ্চুরি এবং ২১ টি হাফ সেঞ্চুরির করে ২০০০ হাজারের উপরে রান করেছেন। ব্যাটিং এভারেজ ছিলো ৩৯ এবং তার স্ট্রাইক রেট ছিলো ৯৫ এবং বোলার হিসেবে তিনি নিয়েছেন ৭৪ উইকেট।
সম্ভবত লাগাতার ম্যাচের চাপ সামলাতে না পেরেই এই সিন্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। বিশ্বের সব টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট গুলোতেই তার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তারপর জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে, টেস্ট এবং টি-টুয়ান্টি সিরিজের দখল সামলাতে না পেরেই এই সিন্ধান্ত নিয়েছেন তিনি এমন টায় সবাই মনে করছেন।
এমন কি তিনি নিজেও বলেছেন যে, "আমার জন্য দেশের হয়ে তিন ফরমেট খেলা কঠিন কারণ বছরের শুরু থেকে টানা খেলা আমার শরীরের পক্ষে সহজ নয়।তার কথাতেই স্পষ্ট যে তিনি কেন অবসর নিয়েছেন।
তিনি আরো বলেছেন টেস্ট এবং টি-টুয়ান্টি ক্রিকেটে তিনি নিজের সেরা টা দিয়ে খেলতে চান। তার জন্যই আরো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে নিজেদের দেশের মাঠিতেই এভাবে গর্বের মতো ক্যারিয়ার নিয়ে এবং সুসম্মানে কয় জন অবসর নিতে পারে। আর বেন স্টোকস সেটাই পেরেছেন। তার পরেও তার টি-টুয়ান্টি এবং টেস্ট ক্রিকেটের জন শুভকামনা রইলো।
বয়সতো মাত্র একত্রিশ এখনি অবসরের দিকে চলে গেলেন...যদিও বেশিরভাগ প্লেয়াররা যখন খুব খারাপ পারফর্মেন্স করতে থাকে তখন অবসর নেয়,আর এমন ভালো খেলতে খেলতে অবসর নেওয়াটা একটা চমক,ভক্তদের হৃদয়ে দাগ কেটে যায়....
হ্যা। উনার এই সময় অবসর নেওয়া টা সত্যিই কল্পনার বাইরে ছিল।