ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ!

avatar

চারদিকে বইছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের উত্তেজনা৷ ক্রিকেট ভক্তরা ব্যস্ত নিজ নিজ দলের সমর্থন জানাতে। সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও কোন অংশে কম কিসে! তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ব্যর্থ ক্রিকেটভক্তদের প্রত্যাশার পূর্ণতা দিতে। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জয়ের পর টানা তিন ম্যাচে বাজেভাবে হেরেছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল। কিন্তু বিশ্বকাপের আগেও বিশ্ব মঞ্চের এই লড়াইয়ে সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখেছিলো হাজারো ভক্ত! তাহলে কেন এতো বাজে অবস্থা বাংলাদেশ দলের?

বিশ্বকাপের সর্বশেষ ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছিলো স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে। এবারের বিশ্বকাপে ভারত শিরোপার দৌড়ে সবচাইতে এগিয়ে। কেননা দলটির রয়েছে হোম অ্যাডভান্টেজ। এশিয়ার মাটিতেই বরাবরই ভারতের চাইতে কোনো ভালো দল নেই। ভারতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপে শিরোপা জয় করেছিল দলটি। এবারের বিশ্বকাপেও ভারত ২০১১ বিশ্বাকাপের চাইতেও বেশি শক্তিশালী দল। তাই এশিয়ার আরেক দেশ বাংলাদেশের পক্ষে ভারতে বিপক্ষে জয় পাওয়া মোটেও সহজ ছিলো। কাগজে কলমের হিসাবে বাংলাদেশ বনাম ভারতের এই ম্যাচে এগিয়ে ছিলো ভারত।

বাংলাদেশ বনাম ভারতের মেসটিতে শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এই ম্যাচটিতে বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করে নাজমুল হাসান শান্ত। ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে একাদশে ছিল না রেগুলার ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচটিতে সাকিব আল হাসান অনুপস্থিতি অনেক ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে।

ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা অসাধারণ করে দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান তানজিদ তামিম এবং লিটন কুমার দাস। দুজনে মিলে গড়ে ৯০+ রানের জুটির। ভারতের বিপক্ষে বরাবরই ভাল পারফরম্যান্স করা লিটন কুমার দাস এই ম্যাচেও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেন লিটন। ৮২ বলে ৬৬ রান করে এই ওপেনার। ওপেনাররা দলকে ভালো শুরু এনে দিলেও পুরোপুরি ব্যর্থ হয় মিডেল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। নাজমুল হাসান শান্ত, তৌহিদ হৃদয় এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটিং ব্যর্থতায় চাপে পরে যায় দল। ফলে বড় রান সংগ্রহের সম্ভাবনা তৈরি করেও ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ।

লো মিডেল অর্ডারে মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অনবদ্য ব্যাটিং পারফরমেন্সে সম্মানজনক একটি স্কোর দাড় করার বাঙালি। তবে ভারতের মতো একটি শক্তিশালী দলের বিপক্ষে জয়ের জন্য তা মোটেও যথেষ্ট ছিল না। যার পরস্বরূপ শেষ পর্যন্ত খুব সহজেই ম্যাচে জয় পায় স্বাগতিক ভারত।

বাংলাদেশের দেওয়া ২৫৭ রানের জবাবে শুরুটা দুর্দান্ত করে ভারতীয় ওপেনাররা। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা তার ব্যক্তিগত ৫০ পূরণ করতে ব্যর্থ হলেও, অপর প্রান্তে শুভমান জিল ৫০ পূর্ণ করে। তাদের দুজনের বিদায়ের পর বিরাট কোহলি পূর্ণ করে তার ব্যক্তিগত শতরান। ফলে ৪১ তম ওভারেই সাত উইকেটের ব্যবধানে জয় পায় ভারত। এই জয়ে চার ম্যাচে চারটিতেই জিতে ভারতের অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে। অপরদিকে চার ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পাওয়া বাংলাদেশ অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের সপ্তম অবস্থানে। বাংলাদেশ কি পারবে বাকি ম্যাচগুলোতে ভালো পারফরম্যান্স করতে?

1000005229.jpg
Bangladesh Cricket: The tigers



0
0
0.000
2 comments
avatar

এই ম্যাচে হারাটাই তো স্বাভাবিক ছিল। ভারতের মাটিতে ভারতকে হারানো বাংলাদেশের মতো দলের শোভা পায় না৷ যা হোক, লিটন তানজিদের জুটিটা ১৫০+ গড়াতে পারতো,যদি গড়াতো তাহলে ৩২০-৩০ করতে পারতো৷ কিন্তু ফালতু কিছু টিম সিলেকশন দলকে ডুবিয়েছে। তাওহীদ হৃদয় এর মতো ক্রিকেটাররা স্রেফ একটা বোঝা, মাহমুদউল্লাহকে ফের ৬ এ নামানো একটা চাল,হাতুরুর মতো হাতুড়িরা দলটাকে ভেঙেচুরে দিয়ে যাবে।

এরকমই হবে যদি যেই কোচ নিজ দেশে পাত্তা পায় না, তাহাকে উঁচা মাইনে দিয়ে নিয়োগ দেয়া হয়, দলের সর্বনাশ করে ছেড়ে দেয়া তো প্রাপ্য পুরস্কার।

0
0
0.000
avatar

ফুটবলের মতো ক্রিকেটেও রাজনীতির মারপ্যাচে নষ্ট করে দিচ্ছে। আফগান আর ন্যাদারল্যান্ডও এখন বাংলাদেশের চাইতে ভালো পারফরম্যান্স করে!

0
0
0.000