জুনিয়র তামিম এবং রিশাদ হোসেনের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের !

avatar
(Edited)

দুর্দান্ত একটি ম্যাচের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যকার তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজের লড়াই। প্রথম দুই ম্যাচের একটিতে বাংলাদেশ এবং একটিতে শ্রীলংকা জয়ের পর শেষ ম্যাচের দিকে তাকিয়ে ছিলো দু'দল। অঘোষিত ফাইনালে এম এ আজিজ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা দল। এই ম্যাচে তানজিম হাসান তামিম এবং রিশাদ হোসেনের অসাধারণ ব্যাটিং পারফরম্যান্সে চার উইকেটের ব্যবধানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা।

বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যকার তৃতীয় ওডিআই ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে সফরকারি শ্রীলংকা দল। দল দুটির মধ্যাকার তিন ম্যাচে তিনটিতেই টসে জয়লাভ করে শ্রীলংকার ক্যাপ্টেন কুশাল মেন্ডিস। এই ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে আসে দুইটি পরিবর্তন। লিটন কুমার দাসের পরিবর্তে এনামুল এক বিজয় এবং তাইজুল ইসলামের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পায় লেগ স্পিনার রিসাদ হোসেন। অপরদিকে এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে শ্রীলংকা দল। একাদশে জায়গা পায় দিমুথ ওয়েলালাগে।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ের শুরুটা এই ভালো করতে পারেনি লঙ্কানরা। দলীয় এক রানেই আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরে দ্বিতীয় ম্যাচের নায়ক পাথুন নিশাক্কা। তাসকিনের বলে এলবিডব্লিউর ফাদে পরে আঊট হয় এই ওপেনার। তার কিছুক্ষন পরেই আবারো শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান আভিষ্কা ফার্নান্দোকে ফিরায় তাসকিন আহমেদ। ফলে ১৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ম্যাচের শুরুতেই চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। সেই চাপ সামাল দিতে ব্যর্থ হয় পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা। দলীয় ১৫০ রান পার হবার আগেই মহামূল্যবান ছয়টি উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

তবে এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার হয়ে একাই পারফরমেন্স করে জানিথ লিয়ানাগে। সব চাপ সামলে ব্যাক্তিগত শতরান পূর্ণ করে এই লো মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যান। তার কল্যানে ২৩৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় সফরকারী দল। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করে পেসার তাসকিন আহমেদ। মোস্তাফিজুর রহমান এবং মেহেদী হাসান মিরাজ দুইটি করে উইকেট তুলে নেয়। তবে এদিন ফিল্ডিংয়ের সময় বাংলাদেশের তিন প্লেয়ার ইঞ্জুরিতে পরে।

শ্রীলংকার দেওয়া ২৩৬ রানের জবাবে বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিংয়ে আসে তানজিম হাসান তামিম এবং এনামুল হক বিজয়। ফিল্ডিংয়ের সময় পায়ে এবং ঘাড়ে ব্যাথা পাওয়া সৌম্য সরকারের পরিবর্তে কনকাশন সাবস্টিটিড হিসেবে মাঠে নামে ওপেনার তানজিম হাসান তামিম। বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিংয়ের শুরুটা দূর্দান্ত করে এই দুই প্লেয়ার। দুজনে মিলে গড়ে ৫০ রানের অনবদ্য জুটি। তবে ১২ রান করে এনামুল বিদায় নেওয়ার কিছুক্ষন পরেই ১ রান করে আউট হয় ক্যাপ্টেন নাজমুল হাসান শান্ত।

এনামুল হক বিজয় এবং নাজমুল হাসান শান্তর বিদায়ের পর জুটি বাধে জুনিয়র তামিম এবং তোহিদ হৃদয়। দুজনে মিলে দলীয়ে শতরান পূর্ণ কতে। কিন্তু পরপর তিন উইকেট হারিয়ে সহজ ম্যাচ কঠিন করে তোলে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা। ৮১ বলে ৮৪ রান করে আউট হয়ে যায় এই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা জুনিয়র তামিম। ঠিক সেই মুহূর্তেই দলের দলের হাল ধরে মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। মেহেদী হাসান মিরাজকে সাথে নিয়ে দলকে আবারো এগিয়ে নিয়ে যায় এই খেলোয়াড়। শেষ দিকে রিসাদ হোসেনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সহজেই জয় পেয়ে যায় বাংলাদেশ দল। ১৮ বলে ৪৮ রানে অসাধারণ এক ইনিংস খেলে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়লাভ করে বাংলাদেশ দল!


1000016758.jpg
Bangladesh Cricket : The Tigers



0
0
0.000
1 comments
avatar

প্রথমত বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন এমন একটি চমৎকার জয় উপহার দেয়ার জন্য । টি-২০ বিশ্বকাপের আগে এমন পারফরম্যান্স সত্যিই অনুপ্রেরণা যোগাবে। আত্নবিশ্বাসও বাড়বে তার সাথে সাথে।

তবে যেটা খুবই স্বস্তিদায়ক যে শেষপর্যন্ত একজন লেগ স্পিনার পাওয়া গেল যে কিনা ভালো ব্যাটিং করতেও জানে। রিশাদ হোসেন আর জাকের আলিকে টিম ম্যানেজমেন্টের আরো পরিচর্যা করা উচিত, তাহলে তারা বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতিতে দারুন ভূমিকা রাখবে।

সামনের চ্যালেন্জের জন্য শুভকামনা বাংলাদেশ টিমকে।

0
0
0.000